ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​১০০ দিনে ৮৬ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে সরকার

ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় : ১৭-১১-২০২৪ ০৪:২১:১৫ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১৭-১১-২০২৪ ০৮:০৭:১৯ অপরাহ্ন
​১০০ দিনে ৮৬ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে সরকার ​সংবাদচিত্র : ফোকাস বাংলা নিউজ
অন্তর্বর্তী সরকার ১০০ দিনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৮৬ হাজার ২৭৭ জনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। রোববার (১৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ১০০ দিনের কার্যক্রমের অগ্রগতি সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

তিনি বলেন, ‘দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ১ কোটি ৮ লাখ। তাদের মধ্যে ২৬ লাখ হলো গ্রাজুয়েট বেকার। গেলো ১০০ দিনে রাজস্বসহ বিভিন্ন খাতে ৮৬ হাজার ২৭৭ জনকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী দুই বছরে ৫ লাখ বেকারকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।’

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘কর্মসংস্থানের অংশ হিসেবে ট্রাফিক পুলিশের সহকারী হিসেবে কাজ করবে শিক্ষাথীরা। যেখানে ছেলে-মেয়ে উভয়েই কাজ পাবে। ২ হাজার ১০০ জনের চাকরি হবে। তাদের মধ্যে ২৩১ জন কাজ শুরু করেছে ট্রাফিক পুলিশের সহকারী হিসেবে। বাকিদের নিয়োগ শিগগিরই দেওয়া হবে।

আসিফ মাহমুদ বলেন, একটি ভঙ্গুর অবস্থার মধ্যে দায়িত্ব নিয়েছি। তবে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো রয়েছে। আমরা জনগনের কাছে জবাবদিহিতা দিতে বাধ্য। গত ১০০ দিনে সরকারের আরও কিছু করার ছিলো। তবে তা হয়তো করা যায়নি। আগামী তিন মাসে এর দ্বিগুণ কাজ করতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

দ্রব্যমূল্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরবরাহ থাকার পরও কিছু পণ্যের দাম বৃদ্ধির জন্য সিন্ডিকেটক দায়ী। সিন্ডিকেটের কারণেই বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। বর্তমানে সরকার কঠোরভাবে বাজার তদারকি করছে। আলু ও সবজির সরবরাহ বৃদ্ধির পরও দাম বাড়ার কারণ খতিয়ে দেখা হবে।

সংস্কারের প্রসঙ্গে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কমিশনগুলোর সুপারিশ পাওয়া যাবে। এরপর তা বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলসহ স্টেক হোল্ডারদের সাথে আলোচনা করা হবে। তারপর নির্বাচনের দিকে যাবে সরকার।

বিসিবি প্রসঙ্গে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, বিসিবিতে রাজনীতিকরণ করা হয়েছিল। তা না হলে ক্রিকেট বোর্ডে পরিবর্তন হতো না। বোর্ড এখন জোড়াতালি দিয়ে চলছে। তবে নতুন পরিচালক নিয়োগের মাধ্যমে স্থবিরতা কাটানোর চেষ্টা চলছে। জবাবদিহিতা নিশ্চিতে প্রতিবছর ফেডারেশনগুলো কার্যক্রমের তথ্য ও অডিট রিপোর্ট দিবে। কেউ দুর্নীতি করলে তা খতিয়ে দেখা হবে।

এ সময় শ্রম সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, গার্মেন্টস খাতে শৃঙ্খলা ফেরানো ও শ্রম অসন্তোষ কমাতে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এরইমধ্যে ফৌজদারি অপরাধে মালিক ও শ্রমিক মিলে ১২৮ জনকে গ্রেফতার হয়েছে। বেক্সিমকো প্রতি মাসে গার্মেন্টস খাতে ৮২ কোটি টাকা বেতন দেয়। এতো টাকার দায় সরকার নিতে পারবে না। এজন্য করণীয় নির্ধারণে সরকার কাজ করছে। এরইমধ্যে তিনটি গার্মেন্টস কারখানার আর্থিক সহায়তা দিয়ে বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বাংলা স্কুপ/ ডেস্ক/ এনআইএন/ এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ